রোহিঙ্গা সংকট ও মানবাধিকার ইস্যুতে জাতিসংঘের উদ্যোগ
- By Jamini Roy --
- 23 January, 2025
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত আন্দোলনের সময় নৃশংসতার বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি আগামী ফেব্রুয়ারিতেই প্রকাশিত হবে। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভার সাইডলাইনে বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
ভলকার তুর্ক জানান, প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে এটি বাংলাদেশের পক্ষের সঙ্গে শেয়ার করা হবে। এ সময় ড. ইউনূস জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, "এই প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কাড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনও প্রায় একই সময়ে প্রকাশিত হবে। "এসব প্রতিবেদন একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে," বলেন ড. ইউনূস।
বৈঠকে ড. ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের গভীরতা তুলে ধরে বলেন, "মিয়ানমার থেকে নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।" তিনি মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে একটি জাতিসংঘ-পর্যবেক্ষিত নিরাপদ অঞ্চল গঠনের আহ্বান জানান, যা নতুন অনুপ্রবেশ রোধে সহায়ক হবে।
ড. ইউনূস আরও বলেন, "রোহিঙ্গা সংকট বিশ্বব্যাপী অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট। আসন্ন উচ্চ-স্তরের সম্মেলনের মাধ্যমে এই সংকটের দিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।"
ড. ইউনূসের প্রস্তাবের প্রতি একমত পোষণ করে ভলকার তুর্ক জানান, তিনি মিয়ানমারের জাতিসংঘ বিশেষ দূত জুলি বিশপসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ইতোমধ্যেই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। "আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হারানো মনোযোগ ফিরিয়ে আনার জন্য এ ধরনের সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ," বলেন তুর্ক।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের এসডিজি কো-অর্ডিনেটর লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশের জেনেভায় স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলাম। বৈঠকের মাধ্যমে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান রোহিঙ্গা সংকট ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।